এ ধরনের উদাহরন সবসময় সঠিক চিত্র তুলে ধরে না। অনেকেই অন্য আরেকজনকে অনুসরন করতে চেষ্টা করেন এবং যাকে অনুস্মরণ করে, তারমত ফল না পেয়ে দ্রুতই নিরাশ হয়ে ব্লগিং থেকে সরে যান। আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ তৈরী করছেন তার অর্থ এই না যে সেখানে মানুষ ভীড় জমাবে। বরং এমন যায়গায় ভীড় জমাতে পারেন যেখানে আদৌ কোন বক্তব্য নেই। যদি টিভির সাথে ব্লগকে তুলনা করেন তাহলে অনায়াসে যাচাই করতে পারেন, বেশিরভাগ দর্শক গুরুত্বপুর্ন অনুস্ঠানের বদলে অর্থহীন অনুস্ঠান দেখে বেশি সময় কাটায়।
- ****আপনার একটা চিন্তা হতে পারে, যেভাবে ব্লগ তৈরী করলে বেশি মানুষ পাওয়া যায় আমার সেটাই করা উচিত।
- ****অথবা আরেকটি চিন্তা হতে পারে, আজ অমুক ব্লগ জনপ্রিয় কিন্তু দুবছর পর, বা পাচ বছর পর আমি টিকে থাকব। ওই ব্লগের কথা কেউ স্মরন করবে না।
অন্যটি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী উপকারী বিষয় নিয়ে ব্লগ চালিয়ে যাওয়া। সামান্য একটু পরামর্শ যদি কেউ আপনার কাছে পান তিনি আপনার কথা মনে রাখবেন। এভাবেই ক্রমে আপনার ভিজিটর বাড়তে থাকবে। পথ পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেবে না। এই মুহুর্তে ব্লগিং থেকে আয় হয়ত সামান্য, কিংবা একেবারেই নেই। কোন একসময় আপনি অন্যদের ছাড়িয়ে যাবেন।
মুল বক্তব্য একটাই, আগ্রহ ধরে রাখা। ব্লগ তৈরীর সময় ব্লগারের প্রথম লক্ষ্য ভিজিটরকে আগ্রহি করে তোলা, ধরে রাখা এবং পরবর্তীতে আবার সাইটে আসার মনোভাব তৈরী করা।
আগ্রহি ভিজিটর সহসাই আপনার সাইট থেকে চলে যাবেন না। আপনি যে বক্তব্য তুলে ধরতে চান তাকে সেই বক্তব্য সহজভাবে বুজান। তিনি আপনার পথ অনুসরন করবে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ করায় আপনি প্রতিযোগি ব্লগার থেকে এগিয়ে থাকবেন। ভিজিটররা আগ্রহ নিয়ে আবারও আপনার সাইটে আসবে।
এপ্রসংগে নতুন ভিজিটরদের আরেকটি কথা জানিয়ে রাখা প্রয়োজন। লক্ষ্য করলে দেখবেন মন্তব্যে কখনো আক্রমনাত্বক বা আপত্তিকর বক্তব্য লেখা হয় না। সাইট যিনি দেখাশোনা করেন তিনি অনেক সময় অনুমোদন করার পর সেটি প্রকাশ হয়, যদি সরাসরি প্রকাশের ব্যবস্থা থাকেও যেকোন সময় তিনি সেটা মুছে দেবেন। যদি মন্তব্য লিখতে আগ্রহি হন, আক্রমনাত্বক ভাষা ব্যবহার করবেন না। সেটা যে ওয়েবসাইটই হোক।
0 comments:
Post a Comment